নিজস্ব প্রতিবেদক: কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিলের মধ্যদিয়ে গতকাল শুক্রবার বন্দর নগরী চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান অ্যাডভোকেট এবিএম ফজলে রশীদ চৌধুরী’র পনেরোতম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এদিন রাউজানে মরহুমের গ্রামের বাড়িতে দোয়া ও মেজবানের আয়োজন করা হয়। এতে স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সবস্তরের মানুষ অংশ নেন।
দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা মো. কুতব উদ্দিন, মাওলানা মো. আবুল হোসেন ও মাওলানা নুরুল ইসলাম। এতে অংশ নেন মরহুমের ছেলে সানজীদ রশীদ চৌধুরী, আজিজুল হক, হামিদুল হক, আনোয়ারুল কবির।
পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধী দলের নেতা এ কে এম. ফজলুল কবির চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র ফজলে রশীদ পারিবারিক ঐতিহ্যকে ধারণ করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন একজন প্রতিথযশা রাজনীতিবিদ, স্বনামধন্য ব্যবসায়ী, সমাজসেবক এবং আইনজীবী হিসেবে। “দি রশীদ্স গ্রপ” এর চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। পাশাপাশি বিভিন্ন সাংগঠনিক গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন ফজলে রশীদ চৌধুরী। বিশেষ করে
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষন ফোরামের প্রেসিডেন্ট, ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে ছিলেন রাউজানের এই কৃতি সন্তান। মরহুম ফজলে রশীদ আরো যেসব প্রতিষ্ঠানের সদস্য ছিলেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), সার্ক এসএমই ফোরাম, যুক্তরাষ্ট্রের World Congress of Families, ইরানের IUMWN, বাংলাদেশ হস্তশিল্প প্রস্তুতকারক ও রপ্তানীকারক সমিতি (বাংলাক্রাফট)। এছাড়া বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি (NASCIB) এবং কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউটস্ এর উপদেষ্টা ছিলেন জাপার এক সময়কার গুরুত্বপূর্ণ এই নেতা।
এবিএম ফজলে রশীদ চৌধুরী মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং বহু জনকল্যাণকর সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।